ড্রোন কি? যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোনের ব্যবহার।
- আপডেট সময় : 01:31:25 pm, Thursday, 15 September 2022 94 বার পড়া হয়েছে
ড্রোন কি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার-আজ আমারা জানব ড্রোন নিয়ে।কিন্তু এইসব ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে। ইউক্রেন-রাশিয়া একে অপরকে হারাতে এইসব মানববিহীন উড়োজাহাজ বা ড্রোন ব্যবহার করছে। শত্রুদের ঘায়েল করতে বেশ কার্যকর এইসব ড্রোন। রুশ কিংবা ইউক্রেনর বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বোমা বা গোলা হামলাও ব্যবহৃত হচ্ছে সামরিক-বেসামরিক গ্রেডের বিভিন্ন ড্রোন।
এবার জেনে নেয়া যাক যুদ্ধে ব্যবহৃত কিছু ভয়ংকর ড্রোন নিয়ে
রুশ- ইউক্রেন যুদ্ধে ছোট কামিকেজ ড্রোন ব্যবহার করছে উভয় পক্ষ।রুশ সামরিক ঘাটি বা সিবাস্তপোলের বিমান ঘাটিতে যে হামলাগুলো চালানো হয়েছে তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই কামিকেজ ড্রোনগুলো ব্যবহার করা হয়েছে।ড্রোন কি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার
ভয়ানক আত্মঘাতী ড্রোনঃ কামিকেজ সুইচব্লেড
কামিকেজ ড্রোন হলো ছোট আকারের অত্যন্ত কার্যকরী একটা ড্রোন। কামিকেজ সুইচব্লেড নামের এই ড্রোনগুলোতে রয়েছে ক্যামেরা, গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম বা জিপিএস। এই ড্রোন ব্যবহারকারী তার লক্ষ্যকে টার্গেট করে সেখানে তার ড্রোনকে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বিপক্ষের উপর হামলা করতে পারেন। কামিকেজ সুইচব্লেড ড্রোনগুলোর ভিতর বিস্ফোরক বোঝাই করা থাকে আগে থেকে।
ড্রোন কি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার
সবচেয়ে মজার বিষয় হলো এই ড্রোনগুলা লক্ষ্যবস্তু খুজে না পাওয়া পর্যন্ত আকাশেই ঘুরতে থাকে। মার্কিন ধনী ইলন মাক্সের কোম্পানি SPACEX ইউক্রেনকে ” এস্টারলিংক” স্যাটেলাইট প্রযুক্তি ব্যবস্থা সরবরাহ করছে। যার ফলে বিভিন্ন সামরিক ড্রোন ও এর অপারেটরদের মধ্যে সম্পুর্ন গোপন ও নিরাপদ যোগাযোগ রক্ষা করা যায়। ড্রোন বিশেষজ্ঞরা জানায় যে, কামিকেজ সুইচব্লেড ড্রোনগুলো যানবাহন বা কোন সাঁজোয়া বহরকে দূর থেকেও আঘাত করতে পারে। কামিকেজ সুইচব্লেড ড্রোন খুব ভয়ংকর বলে এই ড্রোনগুলোকে বলা হয় সুইসাইড বা আত্মঘাতী ড্রোন।
ড্রোন দিয়ে কোন বস্ততে আঘাত করতে আকাশ থেকে মিসাইল ছুড়তে হয়। কিন্তু কামিকেজ ড্রোনের ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে লক্ষ্য বস্তুর কাছে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় । যার কারণেই এই ড্রোনগুলোকে আত্মঘাতী ড্রোনও বলা হয়।
ইউক্রেনের সুপার অস্ত্রঃ
ইউক্রেনের সুপার অস্ত্র হলো তুর্কি বায়রাক্তার টিবি 2। এই ড্রোনটি হলো তুরিস্কের তৈরি। এই ড্রোন দিয়ে রাশিয়াকে প্রতিহত করতে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে ইউক্রেন।
তুরিস্কের ড্রোনের এই অবিশ্বাস্য কার্যকরীতার কারণে অনেক দেশই হুমড়ি খেয়ে পরছে এই ড্রোন কেনার জন্য।
ড্রোন কি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার
বায়াক্তার টিবি 2 দেখতে ছোট খাটো বিমানের মতো। যেটিতে ক্যামেরা ও লেজারগাইডযুক্ত বোমাও থাকে। ইউক্রেন – রাশিয়া যুদ্ধে এই হাতিয়ারের কাছে একরকম নাস্তানাবুদ হতে হয় রূশ বাহিনীকে। সাঁজোয়া যানসহ বিশাল ঘাঁটিও গুটিয়ে দিতে সক্ষম এই বায়রাক্তার টিবি
ড্রোন কি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার
২। বায়রাক্তার টিবি 2 ড্রোনের নকশাকারক শেলযুগ বায়রাক্তার আবার তুর্কি প্রেসিডেন্ট এর মেয়ের জামাই। বায়রাক্তার টিবি ২ ড্রোন গুলো আকাশে ২৫ হাজার ফূট পর্যন্ত উপরে উঠতে পারে। প্রতিপক্ষের স্থাপনায় ২০ টির মতো লেজারগাইডেট রকেট ছুড়তে পারে। রুশ সেনাদের প্রতিরোধের ড্রোনগুলো এতটাই কার্যকর যে ইউক্রেনের সেনারা এটাকে সুপার আস্ত্র বলে আখ্যা দেয়।
রাশিয়ার ভয়ংকর ড্রোন ওরলান টেনঃ
ইউক্রেনের যদি থাকে বায়রাক্তার টিবি 2 তাহলে বলা যায় রাশিয়ার রয়েছে সামরিক গ্রেডের ড্রোন ওরলান টেন। ইউক্রেনের অনেক বায়রাক্তার ড্রোন রাশিয়ার হামলায় ধ্বংস হয়ে গেছে।। শত্রুদের অবস্থান খুজে পাওয়ার ৩-৪ মিনিটের মধ্যেই লক্ষ্য বস্তুকে তাঁক করে কামানের গোলা দাগতে পারে ওরলান ১০ ।। কমপক্ষে ২০-৩০ মিনিট লাগবে পরিকল্পনা করে শত্রুর কোন ঘাঁটিতে হামলা চালাতে যদি না কোন ড্রোন ব্যবহার করা হয়।। যেখানে ওরলান ১০ ড্রোন দিয়ে কয়েক মিনিটেই এই কাজ করা যায়।
ড্রোন কি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার
ওরলান ১০ ড্রোন একাধারে আকাশে টহল ,পর্যবেক্ষণ ,গবেষণা ও উদ্ধার কাজেও ব্যবহার করা হয় ।শুধু তাই নয় যুদ্ধের প্রশিক্ষণ ,রেডিও ফ্রিকোয়েন্সী শনাক্তকরণ ,দূর্গম জায়গাতেও অভিযান চালাতে সক্ষম এই ওরলান ১০ ড্রোন ।ডে – নাইট ক্যামেরার পাশাপাশি এটাতে থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা লাগানো থাকে ।যার কারণে রাতের পাশাপাশি এই ড্রোন দিয়ে ধোঁয়ার মাঝেও নিখুঁত ভাবে আঘাত করা যায়।
ড্রোন কি যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার
3G & 4G সেলুলার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে 3D ম্যাপ ও অন্যান্য প্রযুক্তির সাহায্য সহজেই লক্ষ্য বস্তুর উপর আঘাত করা যায়।। যেকোনো আবহাওয়ায় ৫ কিমি পর্যন্ত উড়তে পারে ওরলান ১০। যার গতিবেগ হতে পারে ১৫০ কিমি/ ঘন্টা & টানা ১৮ ঘন্টা উড়তে পারে এই মানববিহীন ড্রোন ওরলান ১০।
আরও দেখুন >>>